অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

 

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা আমরা অনেকেই করতে চাই। কিন্তু এইটা বুঝতে পারিনা যে অল্প পুঁজি নিয়ে কি ধরনের ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যাবে। আপনি কি জানতে চাচ্ছেন অল্প পুঁজিতে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা করা যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

অল্প পুঁজিতে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা করা যায় তার কিছু  টিপস এবং ট্রিকস আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।এবং এমন এমন কিছু ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দিব যে ব্যবসা গুলোর সামান্য কিছু পুঁজি ইনভেস্ট করার মাধ্যমে আপনি অনেকগুলো টাকা লাভ করতে পারবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র :অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে অনেকেই চাই। অল্প পুঁজি নিয়েও যে লাভজনক ব্যবসা করা যায় সেটা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। হ্যাঁ অল্প পুঁজি নিয়েও ব্যবসা করা সম্ভব। এবং তাতে লাভবান হওয়া সম্ভব। আপনি সামান্য কিছু পুজোর মাধ্যমে আপনি একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবেন এবং তাতে শ্রম দিয়ে আপনি লাভবান হতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এমন এমন কিছু কাজ রয়েছে যে কাজগুলোতে স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে অনেক লাভবান হওয়া যায়। 

অল্প পুঁজি নিয়ে আপনি ফটোগ্রাফির কাজ করতে পারেন। আপনি সামান্য কিছু পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করে ফটোগ্রাফি করার জন্য যা যা প্রয়োজন সেই সব সামগ্রী যদি কিনে নিতে পারেন তাহলে আপনি একটি লাভজনক কাজ শুরু করতে পারবেন। স্বল্প পুঁজি নিয়ে লাভজনক ব্যবসা করার এটি একটি উপায়। বর্তমান সময়ের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করেনা এমন লোক খুব কমই রয়েছে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে লাভজনক ব্যবসা করার এটি একটি সহজ উপায়। এটি সহজ উপায় বলার কারণ হচ্ছে ফটোগ্রাফিতে আপনাকে অধিক পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় না। আপনি স্বল্প পরিমাণ পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং কি আপনি এটির মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় অল্প পুঁজি নিয়ে যদি ফটোগ্রাফির কাজ কেউ শুরু করে তাহলে অবশ্যই এটি তার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। 

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা 

অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করা যায় এটি অনেকের কাছে অজানা। আমরা অনেকের মনে করি যে পাইকারি ব্যবসা করার জন্য মনে হয় অনেকগুলো অর্থ প্রদান করা প্রয়োজন। কিন্তু না বুঝে নিও আপনি পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। এখন বলা যেতে পারে কিভাবে আমরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে পাইকারি ব্যবসা করতে পারি। আপনার কাছে যদি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা থাকে তাহলে আপনি পাইকারি ব্যবসার করতে পারবেন। 

অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। আপনি যদি ৪০-৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে আপনি একটি ছোট্ট পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা করতে পারবেন। এখন বলতে পারেন ৪০-৫০ হাজার টাকাতে কি কাপড়ের ব্যবসা করা যায়। হ্যাঁ অবশ্যই করা যায়। আপনি যদি চল্লিশ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে করোটিয়া বা গাউছিয়া  বাজারে যান তাহলে আপনি অনেকগুলো কাপড় নিয়ে আসতে পারবেন। 

অল্প পুঁজিতে করোটিয়া বা গাউছিয়া বাজারে পাইকারি ব্যবসা করতে পারবেন। কারণ হচ্ছে এই দুই বাজারে কাপড়ের মূল্য খুবই কম। তাই আপনি খুব সহজেই 40-50 হাজার টাকার মাধ্যমে অনেকগুলো কাপড় কিনতে পারবেন। এবং সেটি আপনি স্থানীয় জায়গায় নিয়ে যে পাইকারি ভাবে বিক্রি করতে পারবেন। তাই অবশ্যই বলা যেতে পারে যে স্বল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসায় করা সম্ভব। এবং এই ব্যবসার মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব। 

কিভাবে অল্প পুঁজি নিয়ে লাভজনক ব্যবসা করা যায় 

কিভাবে অল্প পুঁজি নিয়ে লাভজনক ব্যবসা করা যায় সেটি অনেকেই জানতে চাই। বা অল্প পুঁজি নিয়ে একটি ভালো মানের ব্যবস্থা এটি অনেকেই হয়তো জানে না। অবশ্য প্রতিষ্ঠান অল্প পুঁজি নিয়েও শুরু করা যায়। যদি আপনার কাছে সামান্য কিছু অর্থ এবং মনোবল এবং পরিশ্রম করার শক্তি থাকে। কারণ অল্প পুঁজি দিয়ে লাভজনক ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। 

কিভাবে অল্প পুঁজি নিয়ে লাভজনক ব্যবসা শুরু করবেন এখন সেটির বিষয়ে আসা যাক। অনেকেই আছে ২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে একটি ব্যবসা করতে চাই।হ্যাঁ অল্প পুঁজিতেও ব্যবসায় শুরু করার মত একটি ব্যবসা হচ্ছে ফুচকা। ফুচকা এমন একটি জিনিস যে জিনিসটি প্রত্যেকেরই অনেক পছন্দ। বিশেষ করে মেয়েদের বেশি পছন্দ। ২০-৩০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করা সম্ভব। এবং এটি লাভজনক ব্যবসা। 

কিভাবে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় তার একটি উদাহরণ আমি আপনাদেরকে দিয়েছি। কেউ যদি চায় তাহলে অবশ্যই এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারে। এ ব্যবস্থাটি প্রথম দিন থেকে আপনি আপনার লাভ বুঝতে পারবেন। কারণ এটি প্রতিদিন যেই অর্থটা ইনভেস্ট করবেন তার কিছু অংশ হলো বেশি লাভ উঠে আসবে। তাই নিঃসন্দেহে অল্প পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসাটি করলে আপনি লাভবান হবেন। 

অল্প পুঁজি নিয়ে তিনটি লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুঁজি নিয়ে তিনটি লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে এখন আপনাদের আমি কিছু টিপস দিবো।অল্প পুঁজি নিয়ে অনেকের ব্যবসা করতে চান কিন্তু অল্প পুঁজি নিয়ে কি ব্যবসা করবেন সেটি অনেকে বুঝতে পারেন না। এখন আমি আপনাদের বলব অল্প পুঁজি নিয়ে তিনটি লাভজনক ব্যবসার বিষয়। অল্প পুঁজি নিয়ে অনেক ব্যবসা করা যায়। তার মধ্যে তিনটি হচ্ছে বাদাম বিক্রয়, আইসক্রিম বিক্রয়, বিভিন্ন বই বিক্রয়। 

অল্প পুঁজি নিয়ে আপনি বাদাম বিক্রয় করতে পারেন। বাদাম বিক্রয় করার জন্য অধিক কোন পুঁজির প্রয়োজন হয় না। কিছু টাকা হলে বাদাম বিক্রয় করা যায়। বাদাম বিক্রয় করা একটি ব্যবসা। কারণ তার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনভেস্ট করছেন। এবং সেটি আপনি নিজেই বিক্রয় করছেন। তাই কেউ যদি অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই তাহলে সে বাদামের ব্যবসা করতে পারে। আরেকটি হলো আইসক্রিম বিক্রয়। 

অল্প পুঁজি নিয়ে আইসক্রিম বিক্রয় করা যায়। আইসক্রিম ছোট বড় সকালের খুব পছন্দের একটি জিনিস। তাই এটিতে লস এর কোন সম্ভাবনা নেই। কেউ যদি অল্প পুঁজি নিয়ে লাভবান হতে চাই তাহলে আইসক্রিম বিক্রয় করতে পারে। আরেকটি হলো বই বিক্রয়। অনেকেই আছে অল্প পুঁজি নিয়ে কিছু করতে চাই তারা বই বিক্রয় করতে পারে। বই বিক্রয়ের একটি লাভজনক ব্যবসা। বই বিক্রয়ের মাধ্যমে লাভ করা যায়। 

অল্প পুঁজিতে অনলাইনে ব্যাবসা 

অল্প পুঁজিতে অনলাইনে ব্যবসা বসা করা যায় এটি আমাদের ধারণার বাইরে। আমরা সব সময় মনে করি অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য হয়তো অনেকগুলো টাকার প্রয়োজন। কিন্তু তা নয়। কারণ হচ্ছে আপনি সামান্য কিছু বুঝে নিয়েও অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। অনেক সময় বলা যায় কোন পুঁজি না ছাড়াও অনলাইনে ব্যবসা করা যায়। এখন বলব কিভাবে অল্প পুঁজিতে অনলাইনে ব্যবসা করা যায়। 

অল্প পুঁজিতে অনলাইনে ব্যবসা করা খুবই সহজ। আপনি সামান্য কিছু পণ্য কিনলেন অল্প পুঁজি দিয়ে। এবং তারপরে আপনি অনলাইনে সেটির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলেন। এবং আপনি আপনার সকল পণ্যের ছবি একটি একটি করে পোস্ট করলেন। তার মাধ্যমে মানুষ আপনার পণ্য গুলো মানুষ দেখবে। এবং সেটি ক্রয় করার জন্য আপনাকে মেসেজ করবে। এবং তারপরে আপনি আপনার পণ্যটি সেল করতে পারবেন।

অল্প পুঁজি নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করার সুবিধাও রয়েছে। আপনাকে কোন জিনিস তুলে তুলে মানুষকে দেখাতে হবে না। আপনি যে ছবিগুলো পোস্ট করবেন তার মাধ্যমে মানুষ আপনার পণ্যগুলো এমনি দেখতে পাবে। এবং তার মাধ্যমে মানুষ আপনাকে ফোন দেবে বা মেসেজ করবে। স্বল্প পুঁজি নিয়ে কেউ যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চায় তাহলে করতে পারে এটি অনেক লাভজনক ব্যবসা। এটি করলে লাভবান হবে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে খেলনার দোকান 

অল্প পুঁজি নিয়ে খেলনার দোকান দেওয়া যায়। অল্প পুঁজি নিয়ে খেলনার দোকান দেওয়া খুব কঠিন একটি বিষয় নয়। কেউ যদি অল্প পুঁজি নিয়ে কোন ব্যবসা করতে চায় তাহলে খেলনার দোকানটাও তার জন্য ভালো একটি অপশন হবে। কারণ বাচ্চারা সব সময় খেলনা অনেক পছন্দ করে। এবং তারা খেলনা কিনেও। বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে খেলনার দোকান একটি ভালো ব্যবসা। 

অল্প পুঁজি নিয়ে খেলনা দোকান সম্ভব এজন্যই যে। আপনি যদি সামান্য কিছু টাকা দিয়ে কিছু খেলনা কিনেন এবং কোন পার্কে বা কোন একটি দর্শনীয় স্থানের সামনে বসেন। বা বাজারের কোন এক কোনায় বসেন। তাহলে অবশ্যই সেটি বিক্রয় করা সম্ভব হবে  কারণ সকল শ্রেণীর মানুষ এই জায়গাগুলোতে যাই। এবং তাদের সঙ্গে তাদের সন্তানেরাও যায়। তার জন্য এই দর্শনীয় স্থানগুলোর সামনে খেলনা দোকান দেওয়া লাভজনক। 

খেলনার দোকান অল্প পুঁজিতে একটি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে লাভ করতে পারবেন। কারণ খেলনা দোকান দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত কোন পুঁজির প্রয়োজন হয় না। সামান্য কিছু পুঁজি দিয়েই খেলনা দোকান দেওয়া যায়। তাই নিঃসন্দেহে কেউ যদি অল্প পুঁজি নিয়ে লাভজনক ব্যবসা করতে চাই তাহলে সে খেলা দোকান দিতে পারে। তাতে তিনি লাভ করতে সক্ষম হবে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে জুসের বারের ব্যবসা 

অল্প পুঁজি নিয়ে জুস এর বারের ব্যবসা করা যায়। জুসের বালের ব্যবসা করার জন্য অধিক কোন খুঁজে প্রয়োজন হয় না। এখন অনেকেই বলতে পারেন যে জুসের বারে কিভাবে ব্যবসা হয়। হ্যাঁ বন্ধুরা হয় সময় আমরা যখন বাইরে কোথাও যাই তখন আমরা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার প্রত্যাশা রাখি। তখন আমরা যদি চোখের সামনে জুস দেখতে পাই তাহলে অবশ্যই সেটি পান করি। 

অল্প পুঁজি নিয়ে এই জুসের দোকানটি অনেক ভালো হবে। বিশেষ করে গরমকালের এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। কারণ গরমে সকলেই ঠান্ডা কিছু খেতে বেশি ভালোবাসে। আর সেটি যদি হয় জোস তাহলে তো কোন কথাই নেই। এ জিনিসটি খাবে। কারণ হচ্ছে জোস ঠান্ডা একটি জিনিস। যেটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের গরম টা কেটে যেয়ে ঠান্ডা একটা ভাব আসে। তাই জুস  সকলেই পছন্দ করে।

অল্প পুঁজি নিয়ে কেউ যদি ব্যবসা করতে চায় তাহলে সে জুসের ব্যবসা করতে পারে। সামান্য কিছু পুঁজি দিয়েই এ ব্যবসাটা শুরু করা সম্ভব। কারণ জুসের ব্যবসা করার জন্য অধিক কোন টাকার প্রয়োজন হয় না। সামান্য কিছু টাকা এবং পরিশ্রম থাকলে সহজেই সফলতা পাওয়া যায়। কারণ হচ্ছে জুসের ব্যবসা করার জন্য সামান্য কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। যেটির দাম খুব একটা বেশি নয়। তাই নিঃসন্দেহে অল্প পুঁজি নিয়ে জুসের বারের ব্যবসা করা যায়। 

অল্প পুঁজিতে কফি শপ খুলে লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুজিতে কফি সব খুলে লাভজনক ব্যবসা এটি একটি ইউনিক আইডিয়া। কারণ হচ্ছে কফি জিনিসটা অনেকেরই পছন্দ। কফি সকলে অনেক বেশি পছন্দ করে। কোন মিটিং হোক বা বন্ধুদের আড্ডা সকলে কফি টাই বেশি পছন্দ করে। কফি খেয়ে আড্ডা দিতে বা গল্প করতে সকলেরই ভালো লাগে। সেটি যদি হয় একটি মনোরম পরিবেশে তাহলে তো কোন কথাই নেই।

অল্প পুঁজিতে কফি শপ খুলে একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো সম্ভব। কারণ কফি শপ খুলতে খুব একটা অর্থের প্রয়োজন হয় না।সামান্য কিছু অর্থ থাকলে একটি সুন্দর কফি সব খোলা যায়। যদি সে কফি সবটাকে সুন্দরভাবে একটু ডেকোরেশন করা যায় তাহলে আরো বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। কারণ তার ডেকোরেশন এর উপর নির্ভর করেই মানুষ কফি খেতে আগ্রহ বেশি হবে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে কফি শপ খুললে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যাবে। কারণ এটিতে কোন লোক সামনে। আপনি যদি সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে পারেন এবং তার ওপর পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি অল্প পুঁজি নিয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে সক্ষম হবেন। আর সেটি যদি কফি শপ হয় তাহলে তো খুবই ভালো। কারণ এই ব্যবসাটির মাধ্যমে আপনি লাভ করতে পারবেন।  

অল্প পুঁজিতে কসমেটিক্সের দোকানের মাধ্যমে লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুঁজিতে কসমেটিক্স এর দোকানের মাধ্যমে লাভজনক ব্যবসা করা যায় অনেকেরই ধারণা থাকতে পারে। কিন্তু কত টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে বা কোথা থেকে মাল কিনে নিয়ে আসলে অল্প পুজিতে অনেকগুলো মাল পেতে পারবেন আর সেই বিষয়গুলোর আলোচনা করবো।অল্প পুঁজি নিয়ে যদি কসমেটিকসের ব্যবসা করতে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এমন একটি স্থান নির্ধারণ করতে হবে যে স্থান থেকে আপনি ভাল বিক্রি করতে পারবেন। 

অল্প পুঁজিতে কসমেটিকসের ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে পাইকারি ভাবে মাল নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এমন কোন বাজার থেকে নিয়ে আসতে হবে যে বাজারে কসমেটিক্সের পণ্যের মূল্য খুবই কম। এখন বলতে পারেন যে কোথা থেকে নিলে অল্প পুজিতে অনেকগুলো মাল নিতে পারবো।সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে আপনারা যদি গাউছিয়া মার্কেটে যান তাহলে অল্প টাকায় অনেকগুলো প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন। 

অল্প পুঁজিতে কসমেটিকসের ব্যবসা করার জন্য সব থেকে ভালো ও সুলভ মূল্যের বিশ্রাম হচ্ছে গালতিয়াম মার্কেট। কারণ হচ্ছে গাউছিয়া মার্কেটের সব জিনিসের দাম কম। তাই যারা অল্প পুঁজিতে কসমেটিক্স এর ব্যবসা করতে চান তারা অবশ্যই গাউছিয়া মার্কেটে যেতে পারেন। গাউছিয়া মার্কেটে গেলে খুব আপনারা অনেকগুলো পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। তাই বলা যায় যে অল্প পুজিতে কসমেটিকসের ব্যবসা করে লাভজনক ব্যবসা তৈরি করা সম্ভব। 

অল্প পুঁজিতে ফাস্ট ফুডের লাভজনক ব্যবসা 

অল্প পুজিতে ফাস্টফুডে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। কারণ হচ্ছে বর্তমান সময়ে ফাস্টফুড খাবার প্রায় সকলেই পছন্দ করে। তাই ফাস্টফুড এর দোকান দিলে অবশ্যই লাভজনক হবে। কিন্তু হ্যাঁ অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে অল্প পুঁজিতে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা হবে। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসায়ের মধ্যে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে ফাস্ট ফুডের ব্যবসা। সব সময় যে আপনাকে বড় রেস্টুরেন্টই দিতে হবে তা নয় আপনি ছোট্ট একটিও দোকান করতে পারেন। 

অল্প পুঁজিতে ফাস্টফুডের ব্যবসা করার জন্য আপনি ছোট দোকানের মাধ্যমে আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এবং তা থেকে যা লাভ আসবে তা দিয়ে আপনি আস্তে আস্তে বড় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারেন। কিন্তু তার আগে আপনার কাছে যদি পুঁজি অল্প থাকে তাহলে আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে একটি ছোট্ট দোকান খুলতে পারেন এবং যা যা প্রয়োজনীয় জিনিস প্রয়োজন তা আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে ক্রয় করতে পারেন। 

অল্প পুঁজিতে ফাস্টফুড এর ব্যবসা একটু লাভজনক ব্যবসা। কারণ এর মাধ্যমে আপনি অনেক গুলো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফাস্টফুডের খাবার যত চওড়া দামে বিক্রি হয় তা তৈরি করতে কিন্তু ততটা খরচ পড়ে না। তাই আপনি অল্প কিছু পুঁজি খরচ করে অনেকগুলো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যারা অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই পাসপোর্ট এর ব্যবস্থা করতে পারেন এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। 

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে লাভজনক ব্যবসা 

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে লাভজনক ব্যবসা করা যায় এটি আমরা অনেকেই ধারণা করতে পারি না। বর্তমান সময়ের দ্রব্যের মূল্য এত বেশি যে 15-20 হাজার টাকায় যে একটা ব্যবসা হবে সেটি আমরা কল্পনা করতে পারি না। কিন্তু হ্যাঁ হাজার টাকা কেউ বর্তমান সময়ে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। কেউ যদি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে একটি লাভজনক ব্যবসা করতে চায় তাহলে সে সবজির দোকান দিতে পারে। 

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে লাভজনক ব্যবসা হচ্ছে সবজির দোকান। আপনি যদি একটি সুন্দর দোকান দেন এবং ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে সকল ধরনের সবজি আপনি আপনার দোকানে উঠান। তাহলে আপনি সেই সবজিগুলো বিক্রয় করে অনেকগুলো নগদ অর্থ পাবেন। কারণ আপনি প্রতিদিন যা কাঁচা সবজি নিয়ে আসবেন তা আপনার বিক্রয় হয়ে যাবে এবং তার মরলে আপনি নগদ কিছু অর্থ পাবেন। 

১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এটি লাভজনক ব্যবসা বলার কারণ হচ্ছে আপনি যখন পণ্যগুলো ক্রয় করে নিয়ে আসবেন তখন এক দামে কিনবেন কিন্তু যখন আপনি পণ্যটি অন্য মানুষের কাছে বিচার করবেন তখন আরেক দামে বিক্রয় করবেন। কাঁচামালের কোন নির্দিষ্ট মূল্য থাকে না। তাই আপনি যদি অল্প খুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনি 15 থেকে 20 হাজার টাকার মধ্যে সবজির ব্যবসা করতে পারেন। 

৫০০০০ টাকার মধ্যে লাভজনক ব্যবসা 

৫০০০০ টাকার মধ্যে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। কারণ হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনেকগুলো টাকা। আপনার কাছে যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকে তাহলে অবশ্যই সে টাকা দিয়ে আপনি বড় কোন কাজ করতে পারবেন। আপনার কাছে যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা থাকে তাহলে আপনি সিজনাল ব্যবসা করতে পারবেন। তার কারণ হচ্ছে পঞ্চাশ হাজার টাকা খুব ছোট এমাউন্ট না। পঞ্চাশ হাজার টাকার অনেক কিছুই হয়। 

৫০০০০ টাকার মধ্যে লাভজনক ব্যবসা ব্যবসা হচ্ছে ফলের ব্যবসা। বাংলাদেশে অনেক ধরনের ফল আছে যেগুলো অনুযায়ী হয়। সেজন্য আপনি যদি লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনি মৌসুমী ফল কিনে বিক্রয় করতে পারেন। যেমন ধরেন আমের সময় আম লিচু সময় লিচু আরো অনেক কিছু রয়েছে। এই ব্যবসাটি কিন্তু খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এ ব্যবসা করলে আপনি যা ইনভেস্ট করবেন তার ডবল 3 ডবল ও উঠে আসতে পারে। 

৫০০০০ টাকার মধ্যে এটি একটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। কেউ যদি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাই আমার সাথে করতে পারে। অল্প পুঁজিতে খুবই লাভজনক ব্যবসা এটি।ব্যবসাকে হাদিসেও হালাল করা হয়েছে। কারণ হচ্ছে ব্যবসায় লাভ লোক দুটোই আছে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি বুদ্ধি খাটিয়ে পরিশ্রম করে যদি করেন তাহলে অবশ্যই লাভ হবে। ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না।

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার কিছু সুবিধা 

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার কিছু সুবিধা রয়েছে। আপনি অল্প পুঁজি নিয়ে অনেক ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন কোন কাজই ছোট নয়। মানুষ যে কাজটাই করবে সেটি অনেক বড় কাজ। কিন্তু তার সঙ্গে থাকতে হবে সঠিক গাইডলাইন। অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার কিছু সুবিধা রয়েছে যা বেশি বুঝি নিয়ে করাতে নেই। কারণ অল্প পুঁজিতে আপনার ঝুকে কম থাকে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার সুবিধার মধ্যে প্রধান সুবিধা হচ্ছে এতে ঝুঁকি কম থাকে। আমরা সকলেই জানি প্রতিটি ব্যবসায়ের কিছু ঝুঁকি রয়েছে। ছোট হোক বা বড় হোক প্রত্যেকটা ব্যবসাতে ঝুঁকি রয়েছে কিন্তু অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করলে তাতে ঝুঁকি কম থাকে। লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। এটা ঠিক যে অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করলে পরিশ্রম বেশি হয়। কিন্তু আমার মতামত জানতে চাইলে বলবো, অল্প পুজি নিয়ে ব্যবসা করার সুবিধা জনক। 

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার সুবিধা এজন্য রয়েছে যে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করাতে মালিকপক্ষ আপনি নিজে। কারণ এতে অন্য কারো ইনভেস্ট থাকেনা সেহেতু আপনি একাই তার মালিক। অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার মাধ্যমে আপনি নিজে যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটি আপনার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে কার্যকর হবে। আপনার সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত হবে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। তার অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার সুবিধা রয়েছে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার কিছু অসুবিধা

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার কিছু অসুবিধা রয়েছে।প্রতিটি জিনিসের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন অসুবিধা রয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসের লাভ-লোকসান রয়েছে। এখন আমি আপনাদের জানাবো অল্প পুজি নিয়ে ব্যবসা করলে কি কি অসুবিধা হয়। অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করলে প্রধান সমস্যা হয় যে আপনাকে নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে । আপনি অন্য কাউকে দিয়ে নিজের কাজ করাতে পারবেন না। 

অল্প পুঁজি নিয়ে কাজ করার অসুবিধা এজন্যই যে কাউকে নিয়োগ দিয়ে কাজ করাতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ইনভেসমেন্ট বানাতে হবে। কারণ আপনি যাকে বিয়ে কাজ করাবেন অবশ্যই তাকে কিছু নগদ অর্থ প্রদান করতে হবে  আপনার যদি পুঁজি পরিমাণ কম থাকে তাহলে তো আপনি অন্য কাউকে নগদ অর্থ প্রদান করতে পারবেন না। সেজন্য অল্প পুঁজি নিয়ে কাজ করার এই অসুবিধাটা রয়েছে। 

অল্প পুঁজি নিয়ে কাজ করার আরেকটি অসুবিধা রয়েছে।আপনি চাইলে সব কিছু আপনার ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে পারবেন না। কারণ প্রত্যেকটি কাজের অনেকগুলো পণ্য রয়েছে। সে সকল পণ্য যদি আপনি নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনার পুঁজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। যেটি কোনভাবেই সম্ভব নয়। এটি হলো অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসায় করা আরেকটি অসুবিধা। 

শেষ কথা 

অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করা অনেকগুলো উপায় রয়েছে। কেউ যদি অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে চায় তাহলে উপরে দেওয়া সকল ব্যবস্থা করতে পারেন। আশা করছি আমারে কনটেন্টে আমি আপনাদের কাছে অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা কিছু নেই উদাহরণ তুলে ধরতে পেরেছি। এবং কোন কোন কাজ করলে কেমন লাভ হবে বা কোন কোন কাজ করার জন্য কেমন অর্থের প্রয়োজন হবে সবই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। 

আশা করছি আমার এই কনটেন্টি পড়ে আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে কিছু ধারনা পাবেন। এবং যারা অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তারা এখান থেকে যে কোনো ব্যবসা করতে পারবেন।আশা করছি আমারে কন কিনতে আপনাদের নতুন কিছু তথ্য প্রদান করতে পেরেছি। এবং বোঝাতে পেরেছি যে অল্প পুঁজি নিয়ে কি কি ব্যবসা করা যায় এবং তার মাধ্যমিক কতটুকু লাভ পাওয়া যায়। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url