বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে সেটা আমরা সকলেই জানি। বাদাম আমাদের শরীরের জন্য
অনেক উপকারী। বাদাম খেলে ব্রেন বৃদ্ধি পায়। বাদাম খেলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে।
বাদামের গুনাগুন বা তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই ধারণা নাই থাকতে পারে।
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো
বাদাম নিয়মিত পরিমাণ মতো খেলে কি উপকার পাওয়া যায় এবং অতিরিক্ত
বাদাম খাওয়ার ফলে কি কি অপকার হয়।
পোস্ট সূচিপত্র :বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- বাদাম খাওয়াতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- সকালে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- রাতে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- বাদাম ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার উপকারিতা
- ক্যান্সার রোগ নিয়ন্ত্রণে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে বাদাম খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কয়টা করে বাদাম খাওয়া উচিত
- বাদাম খাওয়ার অপকারিতা
- শেষ কথা
বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বাদাম একটি উপকারী ফল। যেটি খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। প্রধানত
বাদাম খেলে শরীর সুস্থ থাকে। স্বাস্থ্যের অনেক ধরনের সমস্যা দূর করে বাদাম।
বাদামের ভেতর রয়েছে টাইপটোহান এবং আরো রয়েছে মেলাটোনিন। আমরা অনেকেই বাদাম খাই
এবং খেতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে বাদাম খেলে অনেক উপকার হয়।
বাদাম খেলে যে শরীরের ক্ষতি হয় আবার এটা হয়তো অনেকে জানে না। প্রতিটি জিনিসের
যেমন উপকার রয়েছে তেমন অপকারও রয়েছে। অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার শরীরের জন্য
ক্ষতিকারক। আর অবশ্যই বাদাম খাওয়ার পরিমাণ মতো খেতে হবে। কোন কিছুই অতিরিক্ত
ভালো না। বাদামে যে সব প্রোটিন রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরের ওজন কমাতে বা
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
বাদাম খেলে ঘুম ভালো হয়। অনেকেই এই কথাটি শুনে আশ্চর্য হবেন। কিন্তু এটি সত্য যে
বাদাম খেলে ঘুম ভালো হয়। বাদামে এমন কিছু প্রোটিন রয়েছে যে প্রোটিন গুলোর কারণে
আমাদের ঘুম হয় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তার অবশ্যই প্রত্যেকেরই বাদাম খাওয়া
প্রয়োজন। বাদামের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার
করবো।
সকালে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
সকালে বাদামের উপকারিতা এত বেশি যে বলে শেষ করা যাবে না। বাদাম আমাদের ওজন কমাতে
সাহায্য করে। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে বাদাম আবার কিভাবে ওজন কমাতে
সাহায্য করে। বাদামে এমন কিছু প্রোটিন রয়েছে সে প্রোটিন গুলোর মাধ্যমেই দেহের
ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।বাদামের মেলাটোনির নামে একটি উপাদান রয়েছে। যে
উপাদানটির কারণে আমরা সকালে বাদাম খেলে নিজের স্বাভাবিক ওজন রাখতে পারবো।
বাদাম খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি বা ভালোবাসি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা
বাদামের পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে। সকালে বাদাম দেহের জন্য কতখানি উপকারী সেটাও হয়তো
আমরা অনেকেই জানিনা। বাদামের ভিতরে এমন এমন প্রোটিন রয়েছে যে প্রোটিন গুলোর
মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক রোগ নিরাময় হতে পারে বা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি।
বাদাম আমাদের দেহের রোগ নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।
বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিকস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আমরা
অনেকেই বাদাম খায় কিন্তু এটা জানি না যে বাদামের ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখে
এবং তার ঝুঁকি কমায়।বাদাম শরিলের খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে
সাহায্য করে। কারণ খারাপ কোলেস্টেরল গুলো আমাদের দেহের সুস্থতা নষ্ট করে তাই
বাদাম খেলে দেহের খারাপ কোলেস্টেরল গুলো মরে যাই এবং ভালো কোলেস্টেরল তৈরি হয়।
ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বাদাম খেলে যে ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয় সেটি হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বাদামে
এমন এমন কিছু প্রোটিন ফাইবার রয়েছে যেগুলোর কারণে আমাদের ত্বকে উজ্জ্বল করতে
সাহায্য করে।আমাদের ত্বকের জন্য যে সকল পুষ্টিগুণ বা ফাইবারের প্রয়োজন রয়েছে সে
সকল কিছু বাদামের মধ্যে রয়েছে। তাই বাদাম খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়। এটি
প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়ার কারণে এর উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব।
ত্বক উজ্জ্বল রাখতে ও সুন্দর রাখতে অনেকেই চাই। কিন্তু অনেকেই এ বিষয়টি জানেনা
যে বাদামের ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখা যায়। বাদামে রয়েছে এ,বি, ডি,ও
আন্টিঅক্সিডেন্ট এর মত নানান ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর ভিটামিন এ বি ডি আমাদের
ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ ত্বকের ভিটামিন এবিডি এর অভাব থাকলে ত্বকের
উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং ত্বক রুক্ষ শুষ্ক দেখা যায়।
এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কথা বলতে গেলে প্রথমে বলা যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের
দেহের প্রয়োজনীয় উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট না থাকে তাহলে দেহের ক্ষতি যদি তকে
না থাকে তাহলে ত্বকের ক্ষতি। তাই ত্বকে আন্টি অক্সিডেন্ট থাকা খুবই প্রয়োজন। আর
সেই প্রয়োজন মেটাতে পারে বাদাম। তাই বাদাম ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য
করে। এবং এটি খুবই উপকারী উপাদান আমাদের দেহের জন্য এবং শরীরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক
রাখার জন্য।
রাতে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
রাতে বাদাম খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান উপকারিতা হচ্ছে
রাতে বাদাম খেয়ে ঘুমালে ঘুম ভালো হয়। আমি আপনাদের শুরুতেই বলেছি যে বাদাম খেলে
ঘুম ভালো হয়। মস্তিষ্ক রিলাক্সে থাকে। এখন বলা যেতে পারে বাদামের মধ্যে কি এমন
পুষ্টিগুণ আছে যার কারণে রাতে বাদাম খেলে ঘুম ভালো হয়। বাদামের মধ্যে রয়েছে
টাইপটোহান।আর এই পুষ্টিগণটির মাধ্যমে রাতের ঘুম ভালো হয়।
বাদামের মধ্যে আরো অনেক উপকার রয়েছে। বাদাম শুধু ঘুম ভালো করে না মস্তিষ্ক
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। বাদামের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না।
বাদামে আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।তাই রাতে যদি প্রতিদিন
নিয়ম করে বাদাম খাওয়া হয় তাহলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম এর মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে থাকে। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা যদি ঠিক থাকে তাহলে শরীর
সুস্থ থাকে।
কারণ শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। তাই বাদামে রয়েছে
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। যে দুটোর কারণে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ
দুটোর মাধ্যমে দেহে অনেক ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। এ দুটোর মাধ্যমে শরীরের দুর্বলতা
কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের অভাবে মানুষ ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারে
না। তাই প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে বাদাম খেলে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাব
পূরণ হবে।
বাদাম ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার উপকারিতা
আমরা বাদাম খাওয়া বলতে শুধু ভাজা বাদাম খাওয়া বুঝে থাকি। কিন্তু না কাঁচা বাদাম
খাওয়াতেও দেহের অনেক উপকার রয়েছে। এখন আমি আপনাদের জানাবো ভিজিয়ে রেখে খেলে কি
উপকার হয়। পাছা বাদাম যদি ভিজিয়ে খাওয়া হয় তাহলে শরীরে এনার্জি ফিরে আসে।
কারণ বাদামের মধ্যে আরো রয়েছে ফসফরাস ও আয়রন জিংক। ফসফরাস ও আয়রন জিংকযদি সঠিক
মাত্রায় থাকে তাহলে এনার্জি বজায় থাকে
এখন বলা যেতেই পারে যে বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার কারণ কি। এটা ভেজে খেলে এক ধরনের
পুষ্টিগুণ এবং কাঁচা ভিজিয়ে রেখে খেলে অন্যরকম পুষ্টিগুণ। আপনি ভাজা খেলে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আপনি
যদি সেটি ভিজিয়ে খান তাহলে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পাবে। মানুষের শরীর পরিচালনা
করার জন্য প্রধান উপাদান হচ্ছে শরীরের এনার্জি।
কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার ফলে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সেটি অতিরিক্ত
খাওয়া যাবে না পরিমাপ মত খেতে হবে। পরিমাণ মতো খাওয়ার ফলে দেহের এনার্জি বজায়
থাকবে এবং দেহ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকবে। তাই অবশ্যই কেউ যদি নিজের শরীরের এনার্জি
ও দেহ সুস্থ রাখতে চায় তাহলে অবশ্যই পরিমাণ মতো বাদাম ভিজিয়ে রেখে খাওয়া
প্রয়োজন।
ক্যান্সার রোগ নিয়ন্ত্রণে বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আমরা সকলেই জানি ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ।আগে জানতাম ক্যান্সার হলে মৃত্যু
অনিবার্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে বা আর হয় না। কারণ এটির অনেক নতুন নতুন মেডিসিন
পাওয়া যাচ্ছে। এবং সেটি সেবনের ফলে ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু আজ আপনাদের জানাবো যে বাদাম খেলে ক্যান্সার রোগ কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায়।
বাদামে এমন এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যেটির কারণে ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা
যায়। বাদামের কপার ও সেলেনিয়াম থাকার কারণে ক্যান্সার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা
সম্ভব। আমি শুরুতেই বলেছি বাদামের অনেকগুলো পুষ্টিগুণ রয়েছে তাই কোন কোন
পুষ্টিগুণের মাধ্যমে কোন কোন উপকার পাওয়া যায় সেটি আপনাদের আজ জানাবো। কপার ও
সেলেনিয়ামের দেহের নানা ধরনের অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
কপার ও এমন দুইটি উপাদান যে দুইটি উপাদানের মাধ্যমে দেহের কঠিন কঠিন রোগ
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। দেহের মারাত্মক রোগের মধ্যে তেমনই একটি রোগ। কোন
ক্যান্সারের রোগী যদি প্রতিদিন নিয়ম করে বাদাম খায় পরিমাণমতো তাহলে অবশ্যই তার
ক্যান্সার রোগটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। ডাক্তারি ঔষধের পাশাপাশি বাদামও একটি
ক্যান্সারের রোগীকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।
খালি পেটে বাদাম খেলে কি হয়
আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের দেহের প্রত্যেকটি অংশ যেন সুস্থ ও স্বাভাবিক
থাকে। তাই দেহের প্রতিটি অংশ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে খালি পেটে বাদাম খাওয়া
খুবই প্রয়োজনীয়। খালি পেটে বাদাম হজমে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই খাবার খাই
কিন্তু সেটি হজম করতে অনেক অসুবিধা হয়। কিন্তু কেউ যদি খালি পেটে বাদাম খায়
তাহলে অবশ্যই তার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
বাদাম খালি পেটে খাওয়ার আরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যেমন বাদাম খালি পেটে
খাওয়ার কারণে দাঁতের গঠন মজবুত থাকে। কারণ বাদ নামে এমন এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে যা
আমাদের দাঁত কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। আমরা সকলেই চাই দাঁত যেন মজবুত ও সুন্দর
থাকে। তার অবশ্যই বাদাম খালি পেটে নিয়মিত খেলে দাঁত মজবুত থাকবে। এবং এটি
দীর্ঘস্থায়ী ভাবেই থাকবে।
বাদাম খালি পেটে খাওয়ার কারণে ফাঙ্গাস ও ইনফেকশন জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করবে। আমরা অনেকেই রয়েছি যারা ফাঙ্গাস ও ইনফেকশন জাতীয় রোগে ভোগী। তাই
তারা যদি প্রতিদিন নিয়ম করে খালি পেটে বাদাম খায় তাহলে অবশ্যই তারা এসব রোগ
থেকে মুক্তি পাবে। খালি পেটে বাদাম খাওয়ার কারণে পাঙ্গাস ও ইনফেকশন জাতীয় রোগ
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রতিদিন কয়টা করে বাদাম খাওয়া উচিত
আমি শুরুতেই বলেছি যে বাদাম অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হয়। তাই অবশ্যই প্রতিদিন
নির্দিষ্ট পরিমাণ বাদাম খাওয়ার ফলে শরীর ভালো থাকে। বাদাম পরিমাণ মতো খাওয়ার
ফলে যেমন রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। তেমনি বাদাম অতিরিক্ত খাওয়ার
কারণে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল গুলো বৃদ্ধি পায়। তার অবশ্যই প্রতিদিন বাদাম
নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
বাদাম প্রতিদিন একবার থেকে দুইবার খাওয়া উত্তম। এবং সামান্য কিছু সংখ্যক
খাওয়াটাই উত্তম। কারণ অতিরিক্ত খাবার কারণে এটির অনেক ক্ষতিও রয়েছে। প্রতিটি
জিনিসের প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ভাই কোন জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নয়। প্রতিদিন বাদাম
সামান্য কিছু করে খেলে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যাবে। আপনাদের সাথে শুরুতেই
বলেছি যে বাদামের অনেকগুলো পুষ্টিগুণ রয়েছে।
প্রতিদিন নিয়ম করে বাদাম খাওয়ার ফলে ত্বক সুন্দর থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত পরিমাণ
মতো বাদাম খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। এবং স্মৃতিশক্তি ও বৃদ্ধি পায়।তাই
আমাদের অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে বাদাম খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে
দেহে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত বাধা অবশ্যই আমাদের দেহের জন্য
ক্ষতিকারক। তাই প্রতিদিন সামান্য কিছু কিছু করে বাদাম খাওয়ায় শ্রেয়।
বাদাম খাওয়ার অপকারিতা
বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যে উপাদান গুলোর মাধ্যমে আপনার দেহের মিনারেলের
শোষণ ক্ষমতা কমিয়ে দিবে। বাদামে রয়েছে ফাইটিং এসিড। যেটির কারণে আমাদের শরীরের
ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশ এগুলো বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তার কারণে আমাদের
শরীরে এলার্জি ও খাদ্যনালীতে জ্বালাপোড়ার বৃদ্ধি পায়। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত
বাদাম খাওয়া আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকার।
বাদামের সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকায় আপনি যখন হালকা লবণ দিয়ে বাদামটি খেতে
থাকবেন তখন অবশ্যই আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই যারা উচ্চ
রক্তচাপ রক্তচাপের রোগী তাদের অবশ্যই বাদাম অল্প খাওয়াই উত্তম। কারণ বাদাম
অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে দেহের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে পান সংশয়
থাকতে পারে। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য
ক্ষতিকারক।
অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। কারণ বাদামে রয়েছে ও মেগা _৬
ফ্যাটি এসিড। বাদামে ও মেগা_৩ ফাটি অ্যাসিড নেই। ও মেগা_৬ফ্যাটি অ্যাসিডের
ভারসাম্য বজায় না থাকলে প্রদাহ এর সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত বাদাম খাওয়ার ফলে ও
মেগা_৬ ফ্যাটি এসিড এর মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায়। তার অবশ্যই বাদাম খাওয়ার
ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এবং অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া যাবেনা।
শেষ কথা
বাদামের কি কি উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা
করেছি। এবং এটি প্রতিদিন খেলে কি উপকার হয় কতটুকু খাবার ফলে উপকার হবে বা কতটুকু
খেলে শরীরের ক্ষতি হবে কোন কিছু এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আশা করছি এই কনটেন্টটি পড়ে আপনারা অবশ্যই বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
আরো কিছু তথ্য পাবেন।
প্রত্যেকেরই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন নিয়মিত
বাদাম খাওয়ার ফলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে ত্বক সুন্দর থাকে দাঁতের ক্ষয় রোধ
হয় হৃদপিণ্ড ভালো থাকে এবং কি ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার জাতীয় রোগ ও নিয়ন্ত্রণে
থাকে। তার অবশ্যই প্রত্যেকের উচিত প্রতিনিধ নির্দিষ্ট পরিমাণে বাদাম খাওয়া। আশা
করছি বাদামের গুনাগুন আপনাদের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url