কানাডা ভ্রমণ করতে যাওয়ার যোগ্যতা
আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন
প্রতিটা মানুষেরই স্বপ্ন থাকে বাইরের উন্নত কোন দেশে যাওয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রেই হোক স্টাডির ক্ষেত্রেই হোক বা ওয়ার্ক পারপাসেই হোক। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে মানুষ ভালোটাকেই বেছে নেয়।কানাডা একটি উন্নত দেশ।
বাংলাদেশ থেকে তিন ক্যাটাগরিতে কানাডা যাওয়া যায়।টুরিস্ট ভিসা,স্টাডি ভিসা,ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই তিন ক্যাটাগরিতে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার সব সর্বপ্রথম প্রয়োজন হবে ৬ মাস মেয়াদী বৈধ ভিসা।
পোস্ট সূচিপত্র:কানাডায় ভ্রমণ করতে যাওয়ার যোগ্যতা
কানাডা ভ্রমণ করতে যাওয়ার যোগ্যতা
প্রতিটা মানুষের মনে স্বপ্ন থাকে। অনেকে অনেক কিছু নিয়েই স্বপ্ন দেখে।আর এই স্বপ্নগুলো সফল হয় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে।সে স্বপ্নগুলোর মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ একটি স্বপ্নের মধ্যেই পড়ে। প্রতিটি মানুষই চায় ওমানের দেশ ভ্রমণ করতে। কানাডা ও ঠিক তেমনি একটি দেশ।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে।
কানাডা যাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা ও ক্যাটাগরির প্রয়োজন আছে যেই ক্যাটাগরি গুলোর মাধ্যমে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।তার মধ্যে হচ্ছে ভ্রমণ ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই তিনটি ক্যাটাগরিতে আপনি কানাডা যেতে পারবেন। শুধু এই তিনটি ক্যাটাগরি থাকলেই হবে না তার সাথে আরো কিছু প্রয়োজন যেগুলো থাকলে আপনি কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডা যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনার কাছে 6 মাস মেয়াদী বৈধ ভিসা থাকতে হবে। IELTS স্কোর সর্বনিম্ন 6.5 থাকতে হবে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী।পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। এবং রিপোর্ট থাকতে হবে। এই জিনিসগুলো যদি থাকে তাহলে আপনি কানাডা যেতে পারবেন সর্বপ্রথম এই জিনিসগুলো কোথায় করতে হবে তারপর কানাডা যেতে পারবেন।
কানাডা যাওয়ার খরচ
কানাডা যেহেতু একটি উন্নত মানের দেশেও সে দেশে থাকতে হলে আপনার খরচটা বেশি হবে সে দেশে ভ্রমণ করার আগে আপনাকে জানতে হবে কানাডা যাওয়ার খরচ কেমন। এর খরচ বিষয়ে ধারণা থাকলে আপনি সেই অনুযায়ী যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারেন আজকে আমি আপনাদের সাথে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে শেয়ার করব কানাডা যাওয়ার খরচ কেমন।
কানাডা যেতে হলে প্রথমেই বলেছি তিন ক্যাটাগরিতে আপনি যেতে পারবেন। স্টাডি ভিসা,টুরিস্ট ভিসা এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই তিন ধরনের ভিসাতে কেমন খরচ হয় সেটি আজ আপনাদের বলবো। স্টাডির ভিসায় যেতে হলে আপনাকে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ করলে আপনি স্টাডি ভিসায় পারবেন।
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় কানাডায় যেতে চান তাহলে আপনার তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে খুব অল্প টাকায় আপনি কানাডায় ভ্রমণ করতে পারবেন। আর যদ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যান তাহলে আপনাদের খরচ পড়বে আট থেকে নয় লক্ষ টাকা। আশা করি আপনাদের বোঝাতে পেরেছি কানাডায় যাওয়ার খরচ কত।
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
আপনি একটি দেশ থেকে অন্য দেশে যখন যাবেন তখন তার সরকারি কিছু খরচ থাকে। প্রতিটা দেশেই যাওয়ার আগে আপনার সরকারের কি কাছে কিছু আবেদন করতে হয়। এবং সে সরকারি আবেদন করতে কিছু টাকা প্রদান করা প্রয়োজন।কারণ প্রতিটি দেশের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।আর তার জন্য করতে হলে কিছু টাকা প্রদান করতে হয়।
তেমনভাবেই আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে যেতে চান। তাহলে আপনাকে সরকারি ভাবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। আর সেই ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু টাকা প্রদান করতে হবে। আপনি যে ক্যাটাগরিতে ভিসা লাগাবেন সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে ফি এর টাকা প্রদান করতে হবে।
কানাডা যাওয়ার ভিসায় বাংলাদেশী খরচ ৪০০০ টাকা।আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে নয় থেকে 10 হাজার টাকা। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট পারপাসে যান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা । এবং যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে সাত থেকে আট হাজার টাকা।
সরকারি ভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
আপনি সরকারিভাবে ও কানাডা যেতে পারেন। আপনি জব পারপাসেও সরকারিভাবে যেতে পারেন সরকারি ভাবে যেতে পারেন এবং কি ভ্রমণ পারপাসের সরকারি ভাবে যেতে পারেন। সরকার থেকে আপনাকে যেটি অনুদান দেয়া হবে আপনি সেটির মাধ্যমেই কানাডা সরকারি ভাবে যেতে পারেন। সরকার থেকে পাওয়া স্কলারশিপ থাকে বা অনুমতি থাক আপনি যেতে পারবেন।
আপনি যদি স্টুডেন্ট পারপাসে যেতে চান তাহলে আপনাকে স্কলারশিপ পেতে হবে।স্কলারশিপ পাওয়ার মাধ্যমে আপনি সরকারি ভাবে কানাডা যেতে পারবেন।সেই স্ক্লারশীপটি অবশ্যই সরকারি ভাবে স্কলারশিপ হতে হবে।আপনি যদি ভ্রমণ পারপাসের সরকারি ভাবে যেতে চান তাহলে সরকারি চাকরির মাধ্যমে কখনো এই অনুমতি প্রদান করা হলে আপনি সরকারী ভাবে কানাডা যেতে পারবেন।
আর চাকরির ক্ষেত্রে যদি আপনাকে সরকারি ভাবে ট্রান্সফার লেটার প্রদান করা হয় তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কানাডা যেতে পারবেন। সে হতো অবশ্যই সরকারি অনুমতি মাধ্যমে আপনি সরকারি ভাবে কানাডা যেতে পারবেন ।সেটি হবে সরকার থেকে প্রাপ্ত অনুমতি যার মাধ্যমে আপনি সরকারি ভাবে কানাডা ভ্রমণ করার সুযোগ পাবেন।
কানাডা যাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা।
সব ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন ।এই ধারণাটি ভুল কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও হবে। যেমন আপনি যদি কানাডার ভ্রমণের যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিসা বা পাসপোর্ট তৈরি করেন তাহলে সেখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি শুধুমাত্র ভ্রমণের উদ্দেশ্যেই সেখানে যাচ্ছেন।
স্টুডেন্ট ভিসায় যদি আপনি কানাডায় যেতে চান তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ আপনি সেখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য যাচ্ছেন। আপনাকে অবশ্য এইচএসসি পাস করতে হবে। আপনি হাইলি এডুকেশন এর কারণে পারেন। সে হতো আপনাকে ভার্সিটিও কমপ্লিট করতে হবে।
আর যদি আপনি এডমিট এ যান তাহলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বাংলাদেশ পাশ। আপনি যে সফটওয়্যার জব করতে চান সেই সেক্টর অনুযায়ী আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন। কারণ প্রতিটা সেক্টরে একই শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না প্রত্যেকটা সেক্টরে আলাদা আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। সে হতো আপনি কোন সেক্টরে জবের জন্য যাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রযোজ্য হবে।
কানাডা যাওয়ার ভিসা ক্যাটাগরি
কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি আমি এই কনটেন্ট এর শুরুতেই বলেছি যে কানাডা যাওয়ার জন্য আপনার তিন ক্যাটাগরির ভিসা থাকে। স্টাডি ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা আর ওয়ার্কিং পারমিট ভিসা। এই তিনটি ক্যাটাগরির মাধ্যমে আপনি কানাড়া যেতে পারবেন। অবশ্যই কানাডা যাওয়ার জন্য এই তিন ক্যাটাগরির ভিসার মধ্যে যেকোন একটা ক্যাটাগরি থাকতে হবে।
আপনার কাছে যদি স্টাডি ক্যাটাগরি ভিসা থাকে তাহলে আপনি সেখানে লেখাপড়া করতে যেতে পারবেন। আপনি সেখানে আপনার হাই এডুকেশন কমপ্লিট করতে পারবেন। আপনি সেখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করতে পারবেন । আর যদি আপনি টুরিস্ট ভিসায় যান তাহলে সেখানে আপনি বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে পারবেন সেখানে বেড়াতে পারবেন।
আর আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার তাহলে সেখানে আপনি জব করতে পারবেন সে যে কোন ধরনের জবই হোক আপনি যে সেক্টরে জব করতে চাচ্ছেন আপনি সেই সেক্টরে জব করতে পারবেন যদি আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে কানাডা জান। শুধুমাত্র ওয়ার পারমিট ভিসার মাধ্যমে আপনি কানাডায় যে জব করতে পারবেন।
কানাডা যাওয়ার এজেন্সি
এখন প্রতিটা ক্ষেত্রে এজেন্টের ব্যবহার বেশি। আপনি যেখানেই যান যে কাজটাই করতে যান না কেন সেখানে আপনি এজেন্ট পাবেন। এখন বর্তমান সময়ে এজেন্ট ছাড়া কোন কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটা ক্ষেত্রেই এজেন্টের প্রয়োজন হচ্ছে। তাই আপনি যদি কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার এজেন্টের প্রয়োজন হবে।
কিন্তু সেই এজেন্টি আপনাকে সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। কারণ প্রতিটি এজেন্টি সৎ এবং হালাল নয়। কিছু কিছু এজেন্ট প্রতারকও আছে যার মাধ্যমে আপনার টাকা আমার যেতে পারে। সেও তো আপনাকে সঠিক ভাবে এজেন্ট নির্বাচন করতে হবে যে আপনি কোন এজেন্টের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন।
আপনার নির্বাচন যদি সঠিক হয় তাহলে আপনি সেই এজেন্ট এর মাধ্যমে কানাডা ভ্রমণ করে আসতে পারবেন।এজেন্টের মাধ্যমে আপনি সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। তারাই আপনার সকল কাজ সম্পূর্ণ করে কানাডা নিয়ে যাবে। এবং সেখানে থাকা খাওয়া ঘোরাফেরা সবকিছুর ব্যবস্থার তারাই করবে এবং সেখান থেকে তারাই নিয়ে আসবে।
শেষ কথা
আমি আজকে আপনাদের সাথে কানাডা ভ্রমণে যাওয়ার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করলাম। আশা করি আমার এই কনটেন্টের মাধ্যমে কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা এবং ভ্রমণের ক্যাটাগরি সবকিছুই পেরেছি। এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আমি কানাডার সকল বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এবং আপনাদের কাছে মেইন মেইন টপিক গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই কন্টেনটি ভালো লাগবে। আমি এই কন্টেন্টের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন। ভুল ত্রুটি হয়ে গেলে অবশ্য ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং আশা করি এ কন্টেনটি পড়ে আমার পাশে থাকবেন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url