ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
ফ্রিল্যান্সিং জগতের ডিজিটাল মার্কেটিং নামটা খুবই জনপ্রিয়। কারণ এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছে।আপনিও কি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে চাচ্ছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না। তাহলে আজকের এই কনটেন্ট টি আপনাদের জন্য। কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য কি কি শিক্ষার প্রয়োজন, শুরু করতে হলে কি কি লাগবে আজ সকল বিষয়ে আলোচনা করব । ফ্রিল্যান্সিং জগতে সহজে কাজ করে ইনকাম করার একটি সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
সুচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
- ডিজিটাল মার্কেটিং কী
- ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
- ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার কেমন হবে
- ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন
- শেষ কথা
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
ডিজিটাল মার্কেটিং শব্দটির মানে হচ্ছে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোন পণ্যের বিষয়ে ইন্টারনেটে প্রচার প্রচারণা করার মাধ্যম কে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেটি অনেক সাইডের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায় যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, মোবাইল অ্যাপ, ইমেইল, ওয়েবসাইট, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমে মানুষ তাদের ব্যবসা বা পণ্য বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারে এবং তাতে তাদের ব্যবসায়ের এবং পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যে প্লাটফর্মের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের মানুষ যে কোন পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা দেখতে পায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য হলো নির্দিষ্ট সময়ে গ্রাহকের নিকট সঠিক বার্তা পৌঁছানো।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাকে দ্রুত কার্যকারী করতে পারবেন এবং দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং যেসব সাইড গুলোর মাধ্যমে মার্কেটিং করে থাকে সেগুলো হচ্ছে কনটেন্ট, মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন এবং তাদের প্রয়োজন বুঝে তাদের সেবা প্রদান করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন এরকম প্রশ্ন সকলের মনেই আসে।ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারনা থাকতে হবে। কারন আপনার মাঝে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সামান্য ধারণা থাকে তাহলে আপনি দ্রুত ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন সেটি শিখতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার যেটি লাগবে সেটি হচ্ছে ধৈর্য মনোবল এবং চেষ্টা। এই জিনিসগুলো যদি আপনার মাঝে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কোন গুলো লক্ষ্য করলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
১ঃলক্ষ্য নির্ধারণ
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমত লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কি নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন।যেমন আপনি কি আপনার কাস্টমারদের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক স্থাপন করবেন, আপনি কি ধরনের সাইট নিয়ে কাজ করবেন আপনি কোন কৌশলটি বেছে নিতে চাচ্ছেন, প্রথমত আপনাকে আপনাদের লক্ষ্য নির্বাচন করতে হবে কারণ আপনার লক্ষ্য যদি সঠিক হয় তাহলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন। প্রতিটা কাজের জন্যই লক্ষ্য প্রধান জিনিস লক্ষ্য থাকলে কাজ সুনিশ্চিত।ডিজিটাল মার্কেটিং এর লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য আপনি কন্টেট রাইটিং টি বেছে নিতে পারেন।কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিজ্ঞাপনটি ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারবেন এবং কি কাস্টমারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ কনটেন্ট রাইটিং টি বেছে নেওয়া উত্তম হবে।
২ঃঅডিয়েন্স সনাক্ত করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অডিয়েন্স সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যে কনটেন্টটি লিখবেন সেটি কাদের জন্য লিখবেন কারা এ কনটেন্টটি পড়বে এবং এ কোনটি লেখার মাধ্যমে কোন কোন মানুষের উপকার হবে সেই বিষয় বিবেচনা করে আপনাকে কন্টেনিটি লিখতে হবে। কারণ অডিয়েন্স কে নির্দিষ্ট করে যদি কনটেন্ট লেখা না হয় তাহলে সে কনটেন্টি কোনদিনই র্যাংক করবে না। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সফল মার্কেটের হওয়ার জন্য আপনাকে অডিয়েন্স সনাক্ত করতে হবে।আপনি যদি অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে পারেন তাহলে কম খরচে ফলাফল পেতে পারেন।
৩ঃSEO সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
এসিও এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে আরও উপরের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন। অর্গানিক পদ্ধতি মাধ্যমে আপনি ফ্রি টপিক পেতে পারেন।সঠিক কি ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি এবং ভালো ব্যাকলিংক পেয়ে আপনার ওয়েবসাইট রাঙ্ক করতে পারবে।SEO শিখতে অনেক সময় লাগবে কিন্তু এটি একবার আপনি শিখতে পারলে আপনার ওয়েবসাইট স্থায়ীভাবে সিকিউর নিয়ে আসবে।
৪ঃকন্টেন্ট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কনটেন্ট মার্কেটিং। কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কাজ করতে পারবেন। ব্লক পোস্টের মাধ্যমে আপনি কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। কনটেন্ট মার্কেটিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হল আপনার পাঠকদের সমস্যা সমাধান করা। কারণ কনটেন্ট মার্কেটিং এমন একটি সাইট যে সাইডে আপনার তথ্য প্রকাশ করা হয়।আপনি যদি সঠিক তথ্য ও প্রকাশ করেন আপনার কন্টেন্টের মাধ্যমে তাহলে আপনি ভাল গ্রাহক পাবেন আর সে গ্রাহকের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারবেন।
৫ঃসোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি শক্তিশালী মাধ্যম। কারণ এখন বিশ্বে সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করা খুবই সহজ। যেমন আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি ইউটিউব এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি টুইটারের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারি। এ সকল বিষয়ের উপরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারব। আমরা যদি নিয়মিত কনটেন্ট শেয়ার করতে পারি তাহলে এই সকল সাইটগুলো থেকে নিয়মিত গ্রাহক পাওয়া যাবে। এর মাধ্যম গুলোর মাধ্যমে আমরা সরাসরি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করতে পারব এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব। আপনার ওয়েবসাইটের আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারেন এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
৬ঃ ক্রমাগত শেখার মানসিকতা
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্রমাগত পরিবর্তন হয়। নতুন নতুন নিয়ম নতুন নতুন কৌশল সৃষ্টি হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে সে নতুন নতুন নিয়ম নতুন নতুন কৌশল সবই নতুন ভাবে শিখতে হবে। শেখার মানসিকতা না থাকে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব না।কোর্সের পরেও অনেক কিছু নতুন ভাবে যুক্ত হয় ডিজিটাল মার্কেটিং নিজে থেকে শিখতে হবে যদি সেগুলো শিখতে না পারি তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করা সম্ভব না।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ
বর্তমানে মানুষ ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখন মানুষ পণ্য সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিনে থাকে। আর এই ইন্টারনেটে পণ্য সেবা ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ মানুষ যত ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা নিবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং করার কারণে মানুষ যেকোনো পণ্য বা সেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারছে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সে সকল পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন হচ্ছে তাই মানুষ সেগুলো ক্রয় করতে পারছে। আর এই জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার কেমন হবে
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার উন্নত হবে। তার কারণ হলো বর্তমান যুগের মানুষ ইন্টারনেটের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি সাইট যে সাইডের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজে ইনকাম করতে পারবে। ডিজিটাল মার্কেটিং সাইডের মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। সঠিক নিয়মে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় এবং তাতে যদি রাঙ্কিং করানো যায় তাহলে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে সুনিশ্চিত।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং যদি কেউ সুন্দরভাবে আয়ত্ত করতে পারে তাহলে সে একজন সফল মানুষ হতে পারবে ।কারণ যত দিন যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ডিজিটাল মার্কেটিং এর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ এক্সপার্ট হলে অন্যের হয়ে কাজ করা যায় এবং সেখানে ভালো টাকা উপার্জন করা যায়। বাজারে টিকে থাকতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি করতে হবে।তাহলে ব্যবসা তে সফলতা অর্জন করা যাবে।
শেষ কথা
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে যদি আপনি আমার কন্টেনটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং অবশ্যই শুরু করতে পারবেন। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে হলে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। আশা করি আজকের কনটেন্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন সেই জিনিসটা বোঝাতে পেরেছি।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url