ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার
ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি।এর কারণ হচ্ছে অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এ প্রাকৃতিক উপাদানটি এতই কার্যকারী যা বলার মতো না। এটি ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক ও চুল দুটোই সুন্দর থাকে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বক ও চুল দুটো সুন্দর থাকবে। অ্যালোভেরা ব্যবহার করার কিছু নিয়ম আছে।যদি কেউ সে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করে তাহলে সে অবশ্যই ফলাফল পাবে।
পোস্ট সূচিপত্র :ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার
ত্বক ও চুলের যত্ন অ্যালোভেরার ব্যবহার
প্রতিটি নারী চাই ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে। কিন্তু সেই টক আর চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেক কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য ব্যবহার করে থাকে। কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহার করার কারণে অনেক সময় ত্বক সুন্দর হয় আবার অনেক সময় চকো চুলের অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু আজ আমি আপনাদের জানাবো প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করে ত্বক ও চুলের যত্ন কিভাবে নিবেন।
অনেক রকম প্রাকৃতিক জিনিস আছে যেটির মাধ্যমে ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়ার সম্ভব। শরীরের প্রত্যেকটি অংশ চাইতে ত্বক কিন্তু খুবই সেনসিটিভ একটি অংশ। তাই মুখের ত্বকে এমন কিছু ব্যবহার করা উচিত নয় যেটি আমাদের ত্বকে ক্ষতি করবে। তাই অ্যালোভেরা এমন একটি উপাদান যেটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ও চুল দুটো সুন্দর থাকবে। যদি কেউ শুধুমাত্র অ্যালোভেরা ব্যবহার করে যত্ন নেয় তাহলে তার ত্বক ও চুল সুন্দর হবে।
অ্যালোভেরা জেল বানিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ভিতর থেকে একটা গ্লো সৃষ্টি করে। তেমনি যদি অ্যালোভেরা জেল বানিয়ে চুলে লাগানো হয় তাহলে চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে এবং সুন্দর ও সতেজ করে তুলে। টক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা প্রয়োজন। অ্যালোভেরার জেল শুধু ত্বক ও চুলের জন্য নয় অনেক রোগ ও ভালো করে।
রাতে ত্বকে অ্যালোভেরার ব্যবহার
অনেকে আছে যারা সারাদিন বাইরে কাজ করে। রুদ্রা অনেক ঘোরাফেরা করে। কাজের কারণে তারা ত্বকের যত্ন নিতে পারেনা। তাদের জন্য রাত্রে ত্বকের যত্ন করা শ্রেয়।ত্বকের যত্ন না করলে ত্বকের গ্লো নষ্ট হয়ে যায়।তাই যারা রাত্রে ত্বকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করবে তাদের জন্য অ্যালোভেরা সঙ্গে আরো দুইটি উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। যেমন অ্যালোভেরার সঙ্গে লেবুর রস, হলুদ।
এই দুইটি উপাদান যদি অ্যালোভেরার সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। তাহলে সারাদিনের রৌদ্রে পড়া যে কালো দাগগুলো হয় মুখে সেগুলো উঠে যায়। এবং স্কিনকে ভিতর থেকে গ্লো করতে সাহায্য করে। হলুদ এমন একটি জিনিস যা গুনাগুনের কোন শেষ নেই। এবং লেবু ভেতরের যত ব্যাকটেরিয়া আছে সেগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই এই দুটি মিশ্রণ ব্যবহার করার ফলে ত্বক সুন্দর হয়।
হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই কার্যকারী উপাদান। হলুদ আমাদের ত্বকে ফর্সা করে তোলে। তেমনি লেবুও আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। লেবু আমাদের ত্বকের ভিতর থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো বাইরে বের করে আনে। এবং সেগুলোকে ধ্বংস করে। তাই অ্যালোভেরা ও এবং হলুদ ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকের সকল কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বক ফর্সাও হবে।
রাতে চুলে অ্যালোভেরার ব্যবহার
কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো দিনে ব্যবহার করার থেকে রাতে ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তেমনি অ্যালোভেরা সঙ্গে একটি উপাদান মিশিয়ে যদি রাতে চুলের ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল ড্যামেজ হওয়া থেকে আটকানো যায়। চুলের গোড়া মজবুত হয়। এবং চুল ঘন ও সুন্দর হয়। আমি আপনাদের সাথে এখন শেয়ার করবো অ্যালোভেরার সঙ্গে কোন উপাদানটি মেশালে চুল সুন্দর হয়।
আপনি যদি অ্যালোভেরার সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে রাতে চুলে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার চুল ঘন সুন্দর এবং মজবুত হবে। অ্যালোভেরা আমাদের শরীর এবং চুলের জন্য খুব উপকারী জিনিস। অ্যালোভেরা শরীরে মাখলেও শরীর নরম ও সুন্দর থাকে। অ্যালোভেরা ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশ্রণ করে যদি সারারাত তুলে লাগিয়ে রাখা হয়। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে নেয়া হয়। তাহলে চুল সুন্দর মজবুত এবং ঘন হবে।
অলিভ অয়েল ও অ্যালোভেরা একসঙ্গে মিশ্রণ করার ফলে দুটোর গুনাগুন একসঙ্গে হয়ে যায়। এবং দুটো ব্যবহার করার ফলে চুলের অনেক উপকার হয়। বর্তমান সময়ে চুল ড্যামেজ হয়ে যাওয়া চুলের ঘনত্ব না থাকা এবং চুল পড়ে যাওয়ার কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এই মিশ্রণ দুটি একসঙ্গে ব্যবহার করার ফলে আপনার এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। এবং একটি ভালো ফলাফল পাবেন।
গোসলের সময় অ্যালোভেরার ব্যবহার
গোসলের সময় যদি আপনি ত্বকে এলোভেরা কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তারপর গোসল করেন। তাহলে গোসলের পরে দেখবেন আপনার ত্বকে যে খসখসে ভাব আছে সেটি আর থাকবে না।ত্বক হবে নরম কমলেও গ্লোয়িং। তাই গোসলের সময় কেউ যদি ত্বকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করে গোসল করে তাহলে তার ত্বকে অনেক গুলো করবে।ত্বকে সুন্দর ও অনেক উজ্জ্বল ময় দেখা যাবে।ত্বকের আদ্রতা ফিরে আসবে।
অন্যদিকে গোসলের সময় সামান্য কিছু চাউল ভিজিয়ে রাখা পানি এবং শ্যাম্পু আর সামান্য কিছু অ্যালোভেরার জেল একসঙ্গে মিশ্রন করে।সেটি চুলে কিছু সময় লাগিয়ে রাখার পর চুলটি ধুয়ে ফেলে দেখবেন চুল চুল সুন্দর নরম এবং সিল্কি হয়ে গেছে। এবং সেটি যদি কিছুদিন বা কেউ ব্যবহার করতে থাকে তাহলে দেখবে তার চুল পড়া বন্ধ হয়ে গেছে এবং নতুন চুল হচ্ছে। গোসলের সময় এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে চুলের অনেক উপকার হয়।
গোসল করার সময় ত্বক ও চুলের জন্য অ্যালোভেরা খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। কারণ হচ্ছে গোসলের সময় অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুল দুটোই সুন্দর থাকে। অ্যালোভেরা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক উপাদান তার প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ফলে কোন সাইড ইফেক্ট থাকে না। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় এতে আমাদের ত্বকে ব্যবহার করাই উত্তম। ত্বক ও চুল দুটোই ভালো থাকবে।
তৈলাক্ত ত্বকে অ্যালোভেরার ব্যবহার
অনেকেই আছে তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেক টেনশন করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন কিছু ব্যবহার করেও শান্তি পায় না। মুখে তৈলাক তো দূর করার জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করেছি কিন্তু কোন ফল পাইনি। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো তৈলাক্ত ত্বকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে কি কি উপকার হয়। এবং কিভাবে ব্যবহার করলে মুখে তৈলাক্ততা দূর হয়। এবং স্কিন সুন্দর হয়।
তৈলাক্ত ত্বক সব সময় কালো কালো দেখা যায়। তাই তোকে তৈলাক্ততা দূর করতে কালো ভাব দূর করতে অ্যালোভেরা একটি কার্যকারী উপাদান। অ্যালোভেরার সঙ্গে যদি সামান্য একটু মসুর ডাল বাটা এবং আলুর রস ব্যবহার করা যায় তাহলে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হয়ে যাবে। এবং ত্বক হবে সুন্দর গ্লোয়িং এবং তো মুক্ত। এই মিশ্রণটি যেকোনো সময় ব্যবহার করা যাবে। এটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
অ্যালোভেরা যেহেতু প্রাকৃতিক জিনিস সে হতো এটি সকলের ব্যবহার করতে পারবে। আসলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক উপকার হয়। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তাই এলোভেরা করা উত্তম। অ্যালোভেরা এই মিশ্রণটি প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। এটি ব্যবহারের ফলে মুখে যে দাগ চোখ থাকে সেগুলো উঠে যায়। এবং ত্বকে করে তোলে লাবণ্যময়। ত্বক করে ভেতর থেকে সুন্দর।
ত্বকে অ্যালোভেরা জেল কিভাবে ব্যবহার করবেন
বাজারে অনেক রকমের এলোভেরা জেল কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো অনেক সময় ভালো হয় অনেক সময় আবার খারাপও হয়। তাই সব সময় বাসাতেই অ্যালোভেরা জেল তৈরি করাটাই ভালো। কিন্তু শুধু অ্যালোভেরার জেল তৈরি করলেই তো হবে না সেটি ব্যবহার করার নিয়মও জানতে হবে। শুধু অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করলে একরকম উপকার এবং তার সঙ্গে কিছু মিশিয়ে ব্যবহার করলে অন্যরকম উপকার।
অ্যালোভেরার জেল শুধু ব্যবহার করলে ত্বকটাকে মসৃণ এবং কোমল রাখে। কিন্তু অ্যালোভেরার জেল এর সঙ্গে যদি একটি উপাদান মিশ্রণ করে ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করে তোলে। টপ টাকে মরছেন ও কোমলের সঙ্গে সঙ্গে ফর্সা ভাবটা রাখাও প্রয়োজন। তাই অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে বেসন এবং চন্দনের গুড়া ব্যবহার করা হয়। তাহলে ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করে তোলে।
শুধু যে তোকে ফর্সা করে তোলে তা নয়। টক স্থায়ীভাবে ফর্সা রাখে। বেসন আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। বেসন ত্বকের ভেতর থেকে ফর্সা করে করতে সাহায্য করে। এবং চন্দনের গুড়া ফর্সা ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই এই মিশ্রণটি ত্বকের ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার জেল টি যদি এই নিয়মে ব্যবহার করা যায় তাহলে টক ফর্সা এবং গ্লোয়িং হবে।
চুলে অ্যালোভেরা জেল কিভাবে ব্যবহার করবে
তুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার কিছু পদ্ধতি রয়েছে। অ্যালোভেরার জেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত অ্যালোভেরার মরে গেলাম গো জেল ব্যবহার করার ফলে চুল সুন্দর এবং ঘন হয়ে থাকে।শুধু জেল ব্যবহার করলেই হবে না। অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে যদি একটি মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলের চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। চুল লম্বা হতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে টক দই ব্যবহার করলে এই উপকারটি পাওয়া যায়।
কিন্তু এই উপাদানটি ব্যবহার করবেন কিভাবে। কি পরিমান ব্যবহার করলে চুল সুন্দর ঘন এবং লম্বা হবে। এরকম প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। দুই থেকে তিন চামচ অ্যালোভেরার জেল এবং এক চামচ টক দই একসঙ্গে মিশ্রণ করে। সেটিকে যদি চুলে লাগিয়ে।২০-২৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখার পর। চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এবং বেশি বেশি পানি দিয়ে। তাহলে হাতের হাত এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে। চুল সাথে সাথে কোমল হয়ে যাবে
শুধু একদিন ব্যবহার করলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে না। এটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করতে হবে। এটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে চুল লম্বা হবে এবং চুল মসৃণ হবে। তাই অবশ্যই অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে এর উপাদানটি মিশিয়ে কিছুদিন ব্যবহার করতে হবে। তাহলে অবশ্যই এর উপকারিতা পাওয়া যাবে। অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে এর উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ। এবং এর উপকারিতা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
শেষ কথা
অ্যালোভেরার জেল ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু এর কিছু সাইড ইফেক্ট আছে। যাদের অ্যালার্জি ও রেস জাতীয় সমস্যা আছে। যাদের ত্বকে ব্যবহারের জেল ব্যবহারের ফলে চুলকানি এলার্জি বা রেস জাতীয় সমস্যা হয়। তাদের জন্য অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার না করায় উত্তম। কারণ প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন উপকার আছে তেমন অপকারও আছে। যাদের ত্বকে অ্যালোভেরা শুট করে না তাদের অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার না করাই উত্তম।
আমার এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে কি কি উপকার হয় তা বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি এই কন্টেনটি পড়ে আপনার উপকার হবে। কারণ প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ও চুল সুন্দর করতে অনেকেই চাই। সেটি কিভাবে ব্যবহার করবে বুঝতে পারে না। আমারে কনটেন্টের মাধ্যমে আমি সেই ব্যবহার বিধি গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এবং উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করেছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url